পুষ্টি ও শক্তির প্রাকৃতিক উৎস : পিনাট বাটার

পিনাট বাটারের স্বাস্থ্য উপকারিতা

প্রোটিনের ভালো উৎস:

 পিনাট বাটারে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন থাকে, যা পেশী গঠনে ও শরীর মেরামতে সাহায্য করে।

হৃদযন্ত্রবান্ধব স্বাস্থ্যকর ফ্যাট

(Healthy Fats): Extra Virgin Olive Oil ও Extra Virgin Coconut Oil থেকে প্রাপ্ত মনো ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী ও শক্তির প্রধান উৎস।

শিশুদের পুষ্টি ও ওজন বাড়াতে সহায়ক:

এর স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শিশুদের ওজন বাড়ায় এবং এতে প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও জিংক আছে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:

এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে।

ফাইবার সমৃদ্ধ সুস্বাস্থ্য :

 প্রাকৃতিক ফাইবার হজমক্ষমতা উন্নত করে এবং দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা ওজন ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করে।এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ:

ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন B3 (নিয়াসিন), ভিটামিন E থাকে—যা স্নায়ু, ত্বক এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:

পিনাট বাটারে কোন অ্যাডেড সুগার নেই তবে এতে আছে প্রোটিন, ফাইবার ও ফ্যাট যা আপনার রক্তে সুগার লেভেলে তেমন কোন প্রভাব ফেলবে না ফলে ডায়াবেটিস থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে:

এটি দীর্ঘক্ষণ শক্তি সরবরাহ করে, যা শরীরকে কর্মক্ষম ও সতেজ রাখে সারাদিন।

আপনাদের সাধারণ জিজ্ঞাসা

পিনাট বাটার কি কি উপাদান দিয়ে তৈরি?

ন্যাচারাল পিনাট বাটার উপাদান: বাছাই করা থাই চিনা বাদাম ভাল ভাবে ভাজা এবং ভার্জিন অলিভ অয়েল, হিমালিয়ান পিঙ্ক সল্ট, লিচু ফুলের মধু। 

চকলেট পিনাট বাটার উপাদান: বাছাই করা থাই চিনা বাদাম ভাল ভাবে ভাজা এবং ভার্জিন ভার্জিন অলিভ অয়েল, হিমালিয়ান পিঙ্ক সল্ট, লিচু ফুলের মধু, ইম্পোরটেড ডার্ক চকলেট(মালয়েশিয়া)

শিশু, কিশোর, প্রাপ্তবয়স্ক কিংবা বৃদ্ধ—সবার জন্যই পিনাট বাটার অত্যন্ত উপকারী। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রত্যেক মানুষের নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রোটিন প্রয়োজন হয়। মাত্র ২ চামচ পিনাট বাটার দৈনিক প্রোটিনের প্রায় ১৬% চাহিদা পূরণ করতে পারে এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রচুর শক্তি জোগায় ও সারাদিন কর্মক্ষম রাখে।

এছাড়াও এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, ফাইবার, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শক্তিশালী মাসল তৈরিতে, হাড় মজবুত করতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এবং মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে। এতে রয়েছে ট্রিপটোফেন নামক একটি বিশেষ উপাদান, যা মুড ভালো রাখতে সাহায্য করে।

পিনাট বাটার শিশুদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এটি বাচ্চাদের বুদ্ধিবিকাশ ও প্রোটিনের ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সাধারণত এক বছর শিশু থেকে খাওয়াতে পারবেন।

আপনার প্রতিদিন ১ থেকে ২ টেবিল চামচ পিনাট বাটার খেলেই শরীরের ঘাটতি পূরণ হবে অর্থাৎ আপনি দিনে ১৬ থেকে ৩২ গ্রাম পিনাট বাটার খেতে পারেন।

পিনাট বাটার ওজন বাড়াতে এবং কমাতে—দুই ক্ষেত্রেই সাহায্য করতে পারে। এটি নির্ভর করে আপনি কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন এবং কোন ধরনের ডায়েট অনুসরণ করছেন তার ওপর। প্রতিদিন ২–৩ চামচ খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।

পিনাট বাটার পাউরুটির উপর স্প্রেড করে খাওয়া যায়। এছাড়াও সালাদ, ফল, কেক, বিস্কুট, টোস্ট, স্মুদি, স্যান্ডউইচ ইত্যাদির সাথে খাওয়া যায়। পিনাট বাটার দিয়ে ঠান্ডা মিল্কশেকও তৈরি করা যায়, যা অত্যন্ত সুস্বাদু।

আমাদের পিনাট বাটারে কোনো প্রিজারভেটিভ বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না, কারণ আমরা পণ্যকে একদম প্রাকৃতিক রাখার চেষ্টা করি। সাধারণ তাপমাত্রায় এটি ৪ মাস এবং ফ্রিজে রাখলে ৬ মাসেরও বেশি সময় ভালো থাকবে।

আমাদের পণ্য হাতে পেয়ে ডেলিভারি ম্যানের সামনে দাঁড়িয়ে টেস্ট করে খেতে পারেন। যদি ভালো লাগে, তাহলে পেমেন্ট করুন ,না হলে ফেরত দিয়ে দিন। ইনশাআল্লাহ, এর স্বাদ ও মান আপনাকে মুগ্ধ করবে।

আপনি পিনাট বাটার আপনার ইচ্ছেমতো সকালে বা বিকালে খেতে পারেন। তবে সকালে খেলে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।

না। নিয়মিত ও পরিমাণমতো খেলে কোলেস্টেরল বাড়বে না। তবে, আমাদের পিনাট বাটার অন্যান্য দের থেকে সুস্বাদু হওয়া সত্ত্বেও বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়।

অবশ্যই। ওজন কমাতে প্রতিদিন পিনাট বাটার খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু এতে অনেক বেশি ক্যালরি থাকে বলে আপনাকে ডায়েট মেনে চলতে হবে, নাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

Shop
Wishlist
0 items Cart
My account